প্রাকৃতিক ভাবে বাংলাদেশ ভুমিকম্পপ্রবণ এলাকাতে অবস্থিত। বিশেষজ্ঞদের
মতে,যেকোন সময় বড় ধরনের ভুমিকম্পে বাংলাদেশ ব্যপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখিন
হতে পারে।

বাংলাদেশের ভুমিকম্প প্রবণ অঞ্চল সমূহঃ
* প্রথম বলয় (প্রলয়ন্কারী ভূমিকম্প) : বান্দরবান, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও রংপুর এই বলয়ে অবস্থিত এবং এই বলয়ে ভূমিকম্পের সম্ভাব্য মাত্রা রিখটার স্কেলে ৭ ধরা হয়েছে৷
*দ্বিতীয় বলয় (বিপদজনক ভূমিকম্প) : ঢাকা, টাঙ্গাইল, বগুড়া, দিনাজপুর, কুমিল্লা ও রাঙ্গামাটি এতে অবস্থিত এবং এখানে ভূমিকম্পের সম্ভাব্য মাত্রা রিখটার স্কেলে ৬ ধরা হয়েছে৷
* তৃতীয় বলয় (লঘু অঞ্চল) : উপরোক্ত এলাকাগুলো ছাড়া দেশের অন্যান্য এলাকাগুলো যা মোটামুটি নিরাপদ সেগুলো এবলয়ে অবস্থিত৷ এসব অঞ্চলে ভূমিকম্পের সম্ভাব্য মাত্রা রিখটার স্কেলে ৬ এর নিচে ধরা হয়েছে৷
ভূমিকম্পের সময় করণীয়: ভুমিকম্পের সময় তৎক্ষাণীত কিছু করণীয় কাজ।
১।নিজেকে রক্ষা করুনঃকয়েক সেকেণ্ড বা মিনিটখানেক সময় ভুমিকম্পের স্থায়িত্ব।এই সময়ে ঘরে অবস্থান করলে টেবিল বা ডেস্কের নিচে সপরিবারে অবস্থান নিন। আপনার মাথায় কোনকিছুর আঘাত পাওয়া থেকে রক্ষা পাবেন।
২।ইলেক্টিক,তেল,গ্যাসের চুলা দ্রুত বন্ধ করুনঃভূমিকম্পের সময় আগুন লেগে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান অনেক বেড়ে যেতে পারে। এমন পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতে যত দ্রুত সম্ভব রান্না ঘরের গ্যাস, তেল বা ইলেক্ট্রিক চুলা বন্ধ করুন। মনে রাখবেন যত ছোট ভূমিকম্পই হোক না কেন চুলা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
৩।তাড়াহুড়া না করে মাথা ঠাণ্ডা রাখুনঃভূমিকম্পের সময় তাড়াহুড়ো করে বাইরে বেড় হতে গেলে ভীড়ে চাপা পড়ে বা উপর হতে মাথায় কিছু পড়ে আহত হতে পারেন। এই জন্য তাড়াহুড়ো না করে ধীর স্থিরভাবে আশপাশ পর্যবেক্ষণ করে তারপর বাইরে বেড় হবার চেষ্টা করুন।
৪।দরজা খোলা রাখুনঃদালানে বসবাসকারীদের প্রধান সমস্যা হয় ভূমিকম্পের সময় দরজা আটকে বন্দী হয়ে যাওয়া। এইজন্য বাইরে যাবার দরজাটি খোলার ব্যবস্থা করুন।
৫।ভবনে থাকা অবস্থায় বা বের হওয়ার সময় মাথাকে রক্ষা করুণঃভূমিকম্পের সময় বহুতল ভবন হতে বাইরে বেড় হবার সময় অনেকেই উপর হতে কোন কিছু পড়ে মাথায় আঘাত পেয়ে থাকেন। এটা এড়াতে বাইরে বেড় হবার সময় মাথার উপর শক্ত বোর্ড বা ট্রে জাতীয় কিছু ধরে রাখুন। এতে করে উপর থেকে কিছু পড়লেও আপনার মাথায় আঘাত লাগবে না। বিছানায় শুয়ে থাকা অবস্থায় ভূমিকম্প হলে বালিশটি মাথার নীচ হতে মাথার ওপরে আনুন।
৬।পাবলিক প্লেজে করণীয়ঃসিনেমা হল, অডিটোরিয়াম, ডিপার্টমেণ্টাল স্টোর, রেল স্টেশন বা এয়ারপোর্টের মত পাবলিক প্লেসে থাকলে সেখানে কর্তব্যরত নিরাপত্তা কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের পরামর্শ অনুসরন করুন।
৭।রাস্তায় বামদিকে গাড়ি পার্কিং করুণঃ ভূমিকম্পের সময় আপনি যদি গাড়ি চালানো অবস্থায় থাকেন তাহলে ধীরে ধীরে আপনার গাড়িটি রাস্তার বামপাশে পার্ক করুন। কোন অবস্থাতেই ভূমিকম্পের সময় গাড়ি চালাবেন না।
৮।পাহাড়ি এলাকায় গড়িয়ে পড়া পাথর ও ভুমিধ্বস সম্পর্কে সতর্ক থাকুনঃভুমিকম্পের সময় পাহাড়ের কাছে থাকলে অতি দ্রুত নিরাপদ খোলা মাঠের মতো জায়গায় যান।
৯।উপদ্রুত এলাকা থাকে দ্রুত সরে যানঃভুমিকম্প উপদ্রুত এলাকা দ্রুত নিরাপদ খোলা জায়গায় যান। এ সময় গাড়ি ব্যবহার না করে পায়ে হেঁটে যাওয়া নিরাপদ।
১০।গুজব শুনে বিভ্রান্ত হবেন নাঃছড়ানো গুজব শুনে নিজে নিজের বিপদ ডেকে আনবেন না। সঠিক তথ্যের জন্য রেডিও কিংবা টিভিতে বুলেটিন শুনুন।
সূত্রঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশের ভুমিকম্প প্রবণ অঞ্চল সমূহঃ
* প্রথম বলয় (প্রলয়ন্কারী ভূমিকম্প) : বান্দরবান, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও রংপুর এই বলয়ে অবস্থিত এবং এই বলয়ে ভূমিকম্পের সম্ভাব্য মাত্রা রিখটার স্কেলে ৭ ধরা হয়েছে৷
*দ্বিতীয় বলয় (বিপদজনক ভূমিকম্প) : ঢাকা, টাঙ্গাইল, বগুড়া, দিনাজপুর, কুমিল্লা ও রাঙ্গামাটি এতে অবস্থিত এবং এখানে ভূমিকম্পের সম্ভাব্য মাত্রা রিখটার স্কেলে ৬ ধরা হয়েছে৷
* তৃতীয় বলয় (লঘু অঞ্চল) : উপরোক্ত এলাকাগুলো ছাড়া দেশের অন্যান্য এলাকাগুলো যা মোটামুটি নিরাপদ সেগুলো এবলয়ে অবস্থিত৷ এসব অঞ্চলে ভূমিকম্পের সম্ভাব্য মাত্রা রিখটার স্কেলে ৬ এর নিচে ধরা হয়েছে৷
ভূমিকম্পের সময় করণীয়: ভুমিকম্পের সময় তৎক্ষাণীত কিছু করণীয় কাজ।
১।নিজেকে রক্ষা করুনঃকয়েক সেকেণ্ড বা মিনিটখানেক সময় ভুমিকম্পের স্থায়িত্ব।এই সময়ে ঘরে অবস্থান করলে টেবিল বা ডেস্কের নিচে সপরিবারে অবস্থান নিন। আপনার মাথায় কোনকিছুর আঘাত পাওয়া থেকে রক্ষা পাবেন।
২।ইলেক্টিক,তেল,গ্যাসের চুলা দ্রুত বন্ধ করুনঃভূমিকম্পের সময় আগুন লেগে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান অনেক বেড়ে যেতে পারে। এমন পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতে যত দ্রুত সম্ভব রান্না ঘরের গ্যাস, তেল বা ইলেক্ট্রিক চুলা বন্ধ করুন। মনে রাখবেন যত ছোট ভূমিকম্পই হোক না কেন চুলা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
৩।তাড়াহুড়া না করে মাথা ঠাণ্ডা রাখুনঃভূমিকম্পের সময় তাড়াহুড়ো করে বাইরে বেড় হতে গেলে ভীড়ে চাপা পড়ে বা উপর হতে মাথায় কিছু পড়ে আহত হতে পারেন। এই জন্য তাড়াহুড়ো না করে ধীর স্থিরভাবে আশপাশ পর্যবেক্ষণ করে তারপর বাইরে বেড় হবার চেষ্টা করুন।
৪।দরজা খোলা রাখুনঃদালানে বসবাসকারীদের প্রধান সমস্যা হয় ভূমিকম্পের সময় দরজা আটকে বন্দী হয়ে যাওয়া। এইজন্য বাইরে যাবার দরজাটি খোলার ব্যবস্থা করুন।
৫।ভবনে থাকা অবস্থায় বা বের হওয়ার সময় মাথাকে রক্ষা করুণঃভূমিকম্পের সময় বহুতল ভবন হতে বাইরে বেড় হবার সময় অনেকেই উপর হতে কোন কিছু পড়ে মাথায় আঘাত পেয়ে থাকেন। এটা এড়াতে বাইরে বেড় হবার সময় মাথার উপর শক্ত বোর্ড বা ট্রে জাতীয় কিছু ধরে রাখুন। এতে করে উপর থেকে কিছু পড়লেও আপনার মাথায় আঘাত লাগবে না। বিছানায় শুয়ে থাকা অবস্থায় ভূমিকম্প হলে বালিশটি মাথার নীচ হতে মাথার ওপরে আনুন।
৬।পাবলিক প্লেজে করণীয়ঃসিনেমা হল, অডিটোরিয়াম, ডিপার্টমেণ্টাল স্টোর, রেল স্টেশন বা এয়ারপোর্টের মত পাবলিক প্লেসে থাকলে সেখানে কর্তব্যরত নিরাপত্তা কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের পরামর্শ অনুসরন করুন।
৭।রাস্তায় বামদিকে গাড়ি পার্কিং করুণঃ ভূমিকম্পের সময় আপনি যদি গাড়ি চালানো অবস্থায় থাকেন তাহলে ধীরে ধীরে আপনার গাড়িটি রাস্তার বামপাশে পার্ক করুন। কোন অবস্থাতেই ভূমিকম্পের সময় গাড়ি চালাবেন না।
৮।পাহাড়ি এলাকায় গড়িয়ে পড়া পাথর ও ভুমিধ্বস সম্পর্কে সতর্ক থাকুনঃভুমিকম্পের সময় পাহাড়ের কাছে থাকলে অতি দ্রুত নিরাপদ খোলা মাঠের মতো জায়গায় যান।
৯।উপদ্রুত এলাকা থাকে দ্রুত সরে যানঃভুমিকম্প উপদ্রুত এলাকা দ্রুত নিরাপদ খোলা জায়গায় যান। এ সময় গাড়ি ব্যবহার না করে পায়ে হেঁটে যাওয়া নিরাপদ।
১০।গুজব শুনে বিভ্রান্ত হবেন নাঃছড়ানো গুজব শুনে নিজে নিজের বিপদ ডেকে আনবেন না। সঠিক তথ্যের জন্য রেডিও কিংবা টিভিতে বুলেটিন শুনুন।
সূত্রঃ সংগৃহীত